Wednesday, 8 June 2016
Sunday, 15 May 2016
কলাম্বিয়ায় ৮ টন কোকেন জব্দ
পানামা সীমান্তের কাছে কলাম্বিয়ার জাতীয় পুলিশ আট মেট্রিকটন কোকেন জব্দ করেছে। রবিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বিপুল পরিমাণ কোকেন জব্দের অন্যতম বড় ঘটনা এটি। জব্দ করা কোকেনের মূল্য আনুমানিক ২৪ কোটি মার্কিন ডলার। অ্যান্টিওকুয়া ডিপার্টমেন্টের টার্বো মিউনিসিপ্যালিটির একটি কলাবাগানের নিচে ভূগর্ভস্থ গোপন স্থানে এই বিপুল পরিমাণ মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস এক ট্যুইটারবার্তায় বলেছেন, ইতিহাসের সবচে বড় মাদকদ্রব্য জব্দের ঘটনা। অপরাধীদের বিরুদ্ধে একটি আঘাত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইস কার্লোস ভিলেগাস বলেছেন, এই কোকেন ছিল অপরাধীচক্র উসুগা গোষ্ঠীর। যুক্তরাষ্ট্র এই চক্রের মূল হোতাকে ধরার জন্য ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। কলাম্বিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৪৪২ টন কোকেন উৎপাদিত হয় বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। অভিযানে একটি মাদকচক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/world/2016/05/16/359069#sthash.CkQsFXsw.dpuf
পরিবহন ধর্মঘটে অচল খুলনা বিভাগ
পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা। রবিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার এ পরিবহন ধর্মঘট। শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায়। মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক-তারেকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঘোষিত সাতদিনের আল্টিমেটাম সরকার মেনে না নেয়ায় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের কারণে দ্বিতীয় দিন আজ সোমবারও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দূরপাল্লার যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। অনেকে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। দূরপাল্লার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংকলরি চলাচল করছে না।। তবে, নগরীতে ইজিবাইক চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দেখা গেছে, খুলনা বিভাগের সর্ব বৃহৎ বাস টার্মিনাল সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। অনেক যাত্রীকে টার্মিনালে গিয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড তাপদাহের মাঝে পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বকস দুদু সকালে বলেন, ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঘোষিত সাতদিনের আল্টিমেটাম সরকার মেনে না নেওয়ায় আমরা এ ধর্মঘট পালন করছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় আমাদের এ ধর্মঘট শেষ হবে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এর আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রহিম বক্স দুদু তিন দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2016/05/16/359070#sthash.uHqzff5K.dpuf
শিশুর ডায়রিয়া: ৪ পরামর্শ ভুলবেন না
গরমে শিশুদের ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ সময় তাদের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। অভিভাবকেরা জেনে নিন, শিশুর ডায়রিয়া হলে কী কী করতে হবে—
পানিশূন্যতা লক্ষ করুন: শিশুদের ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা মারাত্মক হতে পারে। এ সমস্যার লক্ষণগুলো খেয়াল করুন—শিশুর অস্থিরতা ও তৃষ্ণা খুব বাড়ে, চোখ গর্তে ঢুকে যায়, ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে দেখায়। শিশু নিস্তেজ হয়ে গেলে বা তার প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে সেগুলো খারাপ লক্ষণ। যথেষ্ট খাওয়ার স্যালাইন দেওয়ার পরও এমন হতে পারে।
খাওয়ার স্যালাইন কীভাবে দেবেন: শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের কম হলে ১০ থেকে ২০ চামচ; দুই বছরের বেশি হলে ২০ থেকে ৪০ চামচ স্যালাইন প্রতিবার মলত্যাগের পর দিতে হবে। বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন দিন। সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম কিন্তু একই, বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলে স্যালাইন বানাবেন না।
স্যালাইনের পাশাপাশি অন্য খাবার: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি দিতে পারেন। তবে বাজারের কোমল পানীয়, জুস, বেশি চিনিযুক্ত চা কিংবা কফি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়ানো যাবে। শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই দিয়ে যেতে হবে। অল্পবয়সী শিশুর ডায়রিয়া হোক বা না হোক, তাকে মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কোনো দুধ দেওয়া উচিত নয়। আর মায়ের খাওয়াদাওয়ায় কোনো নিষেধ নেই।
অ্যান্টিবায়োটিক কখন: শিশুদের বেশির ভাগ ডায়রিয়া ভাইরাসজনিত। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। তবে শিশু কিছুই খেতে না পারলে বা নিস্তেজ হয়ে পড়লে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে কিংবা ডায়রিয়া ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
পানিশূন্যতা লক্ষ করুন: শিশুদের ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা মারাত্মক হতে পারে। এ সমস্যার লক্ষণগুলো খেয়াল করুন—শিশুর অস্থিরতা ও তৃষ্ণা খুব বাড়ে, চোখ গর্তে ঢুকে যায়, ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে দেখায়। শিশু নিস্তেজ হয়ে গেলে বা তার প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে সেগুলো খারাপ লক্ষণ। যথেষ্ট খাওয়ার স্যালাইন দেওয়ার পরও এমন হতে পারে।
খাওয়ার স্যালাইন কীভাবে দেবেন: শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের কম হলে ১০ থেকে ২০ চামচ; দুই বছরের বেশি হলে ২০ থেকে ৪০ চামচ স্যালাইন প্রতিবার মলত্যাগের পর দিতে হবে। বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন দিন। সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম কিন্তু একই, বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলে স্যালাইন বানাবেন না।
স্যালাইনের পাশাপাশি অন্য খাবার: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি দিতে পারেন। তবে বাজারের কোমল পানীয়, জুস, বেশি চিনিযুক্ত চা কিংবা কফি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়ানো যাবে। শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই দিয়ে যেতে হবে। অল্পবয়সী শিশুর ডায়রিয়া হোক বা না হোক, তাকে মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কোনো দুধ দেওয়া উচিত নয়। আর মায়ের খাওয়াদাওয়ায় কোনো নিষেধ নেই।
অ্যান্টিবায়োটিক কখন: শিশুদের বেশির ভাগ ডায়রিয়া ভাইরাসজনিত। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। তবে শিশু কিছুই খেতে না পারলে বা নিস্তেজ হয়ে পড়লে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে কিংবা ডায়রিয়া ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
শরীরের মূল শক্তি বাড়াতে সেরা ব্যায়াম কী?
শারীরিক সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য উপুড় হয়ে কনুইয়ে ভর করে ব্যায়াম (পুশআপ ও প্ল্যাংক) করা সবচেয়ে ভালো। এতে চলাফেরায় দৃঢ়তার পাশাপাশি শরীরের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় থাকে।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
শরীরের মূল শক্তি বাড়াতে সেরা ব্যায়াম কী?
শারীরিক সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য উপুড় হয়ে কনুইয়ে ভর করে ব্যায়াম (পুশআপ ও প্ল্যাংক) করা সবচেয়ে ভালো। এতে চলাফেরায় দৃঢ়তার পাশাপাশি শরীরের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় থাকে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: অ্যালার্জি বা হাঁচি হলে বা নাক-চোখ থেকে পানি ঝরলে কি ওষুধ খাওয়াই একমাত্র সমাধান?
প্রশ্ন: অ্যালার্জি বা হাঁচি হলে বা নাক-চোখ থেকে পানি ঝরলে কি ওষুধ খাওয়াই একমাত্র সমাধান?
উত্তর: হাঁচি হলে, নাক দিয়ে পানি পড়লে এবং চুলকানির সমস্যা হলে অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি অসুখের মতো দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। তবে ধীরে ধীরে ওষুধের পরিমাণ কমিয়ে একপর্যায়ে বন্ধ করা যেতে পারে। যে জিনিসের প্রতি অ্যালার্জি আছে, তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে উপকার মেলে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ ওষুধ বন্ধ করবেন না বা কমাবেন না।
অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দিন খান
নাক কান গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দিন খান
নাক কান গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
Saturday, 14 May 2016
রাস্তার সংস্কারকর্মীদের ভুলে রাজধানীর বনানী ও কাকলীতে গাড়ি চলছে না। দুই পাশেই যানজটে আটকা পড়েছে হাজার হাজার গাড়ি। আজ রবিবার সকাল থেকে এ তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ট্রাফিকের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নুসরাত বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই রাতের বেলা মূল কাজ চলে এবং পরে তা ঠিক করে যান চলাচলের জন্য সাময়িক উপযোগী করে দেওয়া হয়। কিন্তু গতরাতে সিটি করপোরেশনের কাজ শেষে রাস্তা ঠিক না করে যাওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়া এই রাস্তার কারণে যানবাহনের লাইন যেমন দীর্ঘ হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে সময়। সকাল থেকেই অফিসগামীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2016/05/15/358710#sthash.i96y1Wtz.dpuf
রাস্তার সংস্কারকর্মীদের ভুলে রাজধানীর বনানী ও কাকলীতে গাড়ি চলছে না। দুই পাশেই যানজটে আটকা পড়েছে হাজার হাজার গাড়ি। আজ রবিবার সকাল থেকে এ তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ট্রাফিকের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নুসরাত বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই রাতের বেলা মূল কাজ চলে এবং পরে তা ঠিক করে যান চলাচলের জন্য সাময়িক উপযোগী করে দেওয়া হয়। কিন্তু গতরাতে সিটি করপোরেশনের কাজ শেষে রাস্তা ঠিক না করে যাওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়া এই রাস্তার কারণে যানবাহনের লাইন যেমন দীর্ঘ হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে সময়। সকাল থেকেই অফিসগামীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2016/05/15/358710#sthash.i96y1Wtz.dpuf
বনানী ও কাকলীতে তীব্র যানজট
রাস্তার সংস্কারকর্মীদের ভুলে রাজধানীর বনানী ও কাকলীতে গাড়ি চলছে না। দুই পাশেই যানজটে আটকা পড়েছে হাজার হাজার গাড়ি। আজ রবিবার সকাল থেকে এ তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ট্রাফিকের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নুসরাত বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই রাতের বেলা মূল কাজ চলে এবং পরে তা ঠিক করে যান চলাচলের জন্য সাময়িক উপযোগী করে দেওয়া হয়। কিন্তু গতরাতে সিটি করপোরেশনের কাজ শেষে রাস্তা ঠিক না করে যাওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়া এই রাস্তার কারণে যানবাহনের লাইন যেমন দীর্ঘ হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে সময়। সকাল থেকেই অফিসগামীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2016/05/15/358710#sthash.i96y1Wtz.dpuf
ক্ষুধা ও অপুষ্টিমুক্ত বাংলাদেশ
ক্ষুধা ও অপুষ্টিমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতা সাম্প্রতিককালে লক্ষণীয়। অতীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই লক্ষ্যে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রতিষ্ঠা করে। সত্তরের দশক শেষ হওয়ার পর অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে ক্ষুধা ও অপুষ্টিমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রায়োগিক গবেষণায় বর্তমানে লিপ্ত। এই প্রতিষ্ঠানের নতুন উদ্যোগের শিরোনাম হলো কমপ্যাক্ট-২০২৫। ২০১৫ সালে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মালাউয়ি ও ইথিওপিয়ায় এ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি নীতিনির্ধারকদের জন্য গোলটেবিল বৈঠক ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ মে ঢাকায় একই ধরনের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে একটি আলোচনাপত্রও প্রণীত হয়েছে। এতে স্বীকার করা হয় যে ১৯৯০-২০১৩ পর্যন্ত সময়ে দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে এ দেশে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও এ দুটি সমস্যা এখনো বিদ্যমান। এ ধরনের মতামতের ভিত্তি হলো ২০১৪ সালের জাতীয় জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমন্বিত বসতবাড়িবিষয়ক জরিপ প্রতিবেদন। এ দুটি সমস্যার বিষয়ে বলা হয় যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যের পরিসংখ্যান হলো, ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সালে দরিদ্র ব্যক্তির হার ৬৩ থেকে ৪৪ শতাংশে হ্রাস পায়। দারিদ্র্যসীমার মাপকাঠি হলো মাথাপিছু ১.৯০ ডলার। অর্থাৎ এখনো মোট ৫৬ শতাংশ জনমানুষ এই মাপকাঠি অনুযায়ী দারিদ্র্য বা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।
দারিদ্র্যের মাত্রা হ্রাসের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারও ৫.৭ শতাংশ ছিল। এ পরিসংখ্যান বিশ্বব্যাংকের। ১৯৯০ থেকে
২০১৩ পর্যন্ত সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অক্ষুণ্ন ছিল। এর ফলে মাথাপিছু আয় ৮৪৮ থেকে তিন হাজার ২৭১ ডলারে উন্নীত হয়। তবে এই পরিমাণ দক্ষিণ এশিয়ার গড় মাথাপিছু আয়ের তুলনায় যথেষ্ট নয়। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের গড় মাথাপিছু আয় চার হাজার ৮০৭ ডলার। আলোচনাপত্রে বলা হয়, কৃষি খাতে ২০০৮-১২ সালে সরকারি বিনিয়োগ ৯ শতাংশ ছিল, যা বিশ্বের সব দেশের তুলনায় তৃতীয় বৃহত্তম। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের তুলনায় বিনিয়োগের পরিমাণ একেবারে মন্দ বা খুব কম ছিল না। তবে কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ যথেষ্ট হয়নি মর্মে মত প্রকাশ করা হয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির হার দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের তুলনায় বেশি। ২০০৭-১৪ সালে বাংলাদেশ এই হার ছিল ৪.৪। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের হার ৩.৩। এ পরিসংখ্যান বিশ্বব্যাংকের। কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগের অপেক্ষাকৃত কম মাত্রার বিষয়টি অতীতেও ছিল। তবে সাম্প্রতিককালে এই মাত্রা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি অনেকে করে থাকেন তা হলো, গবেষণার ফলাফল যদি কৃষকরা কাজে লাগাতে না পারে, তাহলে বিনিয়োগ নিষ্ফল হয়। এ বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার অবকাশ রয়েছে।

গোলটেবিল আলোচনার অন্য বিষয়টি ছিল খাদ্য নিরাপত্তা। খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে অপুষ্টির বিষয়টিও জড়িত। এ বিষয়টি উপেক্ষা করে প্রকৃত অর্থে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ফলপ্রসূ হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতির বিষয়ে আলোচনাপত্রে আলোকপাত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯০-৯২ থেকে ২০১৪-১৬ সালে অপুষ্টির হার অর্ধেকে হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ অপুষ্টির হার ৩২.৮ থেকে ১৬.৪ শতাংশ হ্রাস অর্জিত হয়েছে। এটি শুভ লক্ষণ, তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট নয়। অর্জিত হার ১০ শতাংশের নিচে থাকা বাঞ্ছনীয়। খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসার দাবি রাখে। চাল উৎপাদন ২০০০-১৪ সালে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে শাকসবজির উৎপাদনের হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে। জমির উৎপাদন বৃদ্ধির হার চালের ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ এবং শাকসবজির ক্ষেত্রে ৬৩ শতাংশ। এর ফলে মাথাপিছু চালপ্রাপ্তি এক হাজার ৬৮৮ থেকে এক হাজার ৭১১ কিলোক্যালরি হয়েছে। শাকসবজির ক্ষেত্রে মাথাপিছু প্রাপ্তি ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্যতালিকা ও অর্থনীতিতে মাছ উল্লেখযোগ্য। চাল ও শাকসবজির পর বাংলাদেশের খাদ্যতালিকায় মাছ অন্তর্ভুক্ত। ২০১৩ সালের এফএওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশিদের জন্য ৫১ শতাংশ আমিষ মাছ থেকে পাওয়া যায়। ২০০০-১৪ সালে মাছ উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে মাছ উৎপাদন জিডিপিতে ৪.৪ শতাংশ অবদান রাখে। বেশি খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যঘাটতি হ্রাস পেলেও এফএওর ২০১৫ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনো জনপ্রতি ১১৬ কিলোক্যালরির ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি দূর করা না গেলে ক্ষুধা ও অপুষ্টি নির্মূল করা সম্ভব হবে না।
পুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে গত দেড় দশকে যথেষ্ট সাফল্য হওয়া সত্ত্বেও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জও যথেষ্ট রয়েছে। ২০১৩ সালের এক আন্তর্জাতিক গবেষকের মতে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের (বাংলাদেশসহ) ৪৫ শতাংশ শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ অপুষ্টি। শিশুদের অপুষ্টির অন্যতম লক্ষণ হলো খর্বাকৃতি। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির আশঙ্কার কথা অস্বীকার করা যায় না। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে খর্বাকার শিশুদের ক্ষেত্রে শিক্ষা অর্জনে বাধাসহ সাবালক হওয়ার পর কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। সার্বিকভাবে জীবনযাপনের জন্য আয়ের ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তবে ইউনেসকো, ডাব্লিউএইচও ও বিশ্বব্যাংকের ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর খর্বাকৃতির হার ছিল ৪৮ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। ইফরির আলোচনাপত্রে বলা হয়েছে, অপুষ্টির অন্যান্য সূচকে মিশ্র দৃশ্যপট দেখা গেছে। ২০১৪ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৪ শতাংশ শিশুর বয়স অনুপাতে ওজন কম। ৩০ শতাংশ শিশুর ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। জেলা পর্যায়ের চিত্রও অধিকতর তথ্য সংগ্রহের দাবি রাখে। খর্বাকৃতি শিশুর শতকরা হার সিলেট বিভাগে ৫০, বরিশালে ৪০ ও চট্টগ্রামে ৩৮। খুলনা বিভাগে এই হার সর্বনিম্ন। অথচ দারিদ্র্যপ্রবণ জেলায়ই অপুষ্টি অধিকতর হওয়ার কথা। খুলনা বিভাগে এই মাপকাঠিতে সে দৃশ্যপট দিচ্ছে না। এ বিষয়ে ইফরির আলোচনাপত্রে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা প্রণিধানযোগ্য। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে এ ধরনের বিপরীতধর্মী দৃশ্যপটের কারণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কৃষি খাতের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত সূচক অনুযায়ী সিলেট বিভাগের অবস্থান নিম্নে। মাত্র ১১ শতাংশ নারী এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হিসেবে চিহ্নিত। চট্টগ্রামে এই হার ১২ শতাংশ। অথচ এ দুটি বিভাগই ধনী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির অন্যতম কারণ অপুষ্টি। উন্নয়নশীল দেশের জন্য অপুষ্টির কারণে জিডিপি প্রতিবছর ২ থেকে ৩ শতাংশ হ্রাস পায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে এ কারণে উৎপাদন হ্রাসের মাত্রা বছরপ্রতি সাত হাজার কোটি টাকা বা এক বিলিয়ন ডলার। স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত ব্যয় যোগ করলে এই হিসাব বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অপুষ্টি নিরসনের অন্যতম উপায় হলো খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যের গুণগত মান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশিদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা অতিমাত্রায় খাদ্যশস্যনির্ভর—মূলত চাল। শিশুদের খাদ্যতালিকার বৈচিত্র্য ও গুণগত মান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ২৫ শতাংশ শিশু এ বিষয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও মানসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণে সক্ষম। গ্রামের শিশুদের ৭১ শতাংশ ক্যালরি চালনির্ভর। সাম্প্র্রতিককালে ফলসহ শাকসবজির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেলেও তা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের গড় প্রাপ্যতার তুলনায় কম। অপুষ্টি প্রতিরোধের জন্য অন্য কিছু ক্ষেত্রও অবদান রাখতে পারে; যেমন—বিশুদ্ধ পানিসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক অবকাঠামো। এ ছাড়া রয়েছে পরিবারের মা-বাবার শিক্ষাগত মান। এ আলোচনায় একজন নির্ধারিত গবেষক অপুষ্টি প্রতিরোধের জন্য দুটি সামাজিক সমস্যা সমাধানের বিষয় উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এই দুটি সমস্যাই পুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে সামাজিক বাধা। এক, বাল্যবিবাহ। জানা যায়, এ দেশের ৬৫ শতাংশ মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে করে বা করতে বাধ্য হয়। দুই, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ, যার ফলে কর্মক্ষম নারীরা দুস্থ জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। এসব বিষয় আমলে নিয়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু, কখন আশা ত্যাগ করবেন?
ইস্টার এবং ড্যান লেভির ১৪ মাসের ফুটফুটে ছেলে অ্যান্ড্রু লেভির লিউকোমিয়া ধরা পড়লো। তার ক্যান্সার একেবারে বিরল। লিউকোমিয়া হাড়ের মজ্জার সেই সব কোষের ক্যান্সার যা নতুন রক্ত কণিকা সৃষ্টি করে। শিশুদের মধ্যে যে ক্যান্সারটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার নাম লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়া। এটা সহজে ভালো হয়। আবার বছরে ৪৫ জন শিশুর হতে পারে অ্যাকুট মেগাক্যারিয়োব্লাস্টিক লিউকোমিয়া (এএমকেএল)। অ্যান্ড্রু সেই দলেরই একজন।
ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দুই সপ্তাহ পর আরো খারাপ খরব আসলো। যে শিশুদের এএমকেএল হয় তাদের মধ্যে গুটিকয়েকের লিউকোমিয়ার ওপরের স্তরে বিশেষ এক প্রোটিন দেখা যায় যার নাম আর.এ.এম। এটি যাদের দেহে পাওয়া যায় তাদের নিরাময় সম্ভব নয়। অ্যান্ড্রুয়ের তাই হয়েছে। এ বিষয়টি অ্যান্ড্রুয়ের চিকিৎসক লুসিল প্যাকার্ড চিলড্রেন্স হসপিটালের অনকোলজিস্ট নরম্যান ল্যাকাইয়োকে জানালেন সিয়াটল ল্যাবের হেমাটোলজির প্রেসিডেন্ট মাইকেল লোকেন।
এ ধরনের ক্যান্সারে কেউ বাঁচে না বলেই জানান চিকিৎসক। হরর মুভির মতো পরিবেশে ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাতে থাকলেন বাবা-মা। রোগ ধরা পড়ামাত্র অ্যান্ড্রুয়ের বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রথমে লিউকোমিয়া কোষগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। এর জন্যে কেমোথেরাপি দিতে হবে। তারপর কোনো দাতার কাছ থেকে কোষ নিতে হবে। এ কাজে অ্যান্ড্রুয়ের ৩ বছরের বোন লিয়া এবং ৫ বছর বয়সী ভাই উইলসকে পরীক্ষা করা হয়। উইলসকে বেছে নেওয়া হয় অবশেষে। দুই বার কেমোথেরাপি দেওয়ার পরও ক্যান্সার থেকেই যায়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়।
অ্যান্ড্রুয়ের পাশে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক গ্রুপ। কিন্তু মায়ের দিন কাটে হাসপাতালে। মা চাকরি করতেন যা ছেড়ে দেন। বাবা বাড়িতে অন্য দুই সন্তানকে নিয়ে থাকছেন।
তিন মাস হাসপাতালে থাকার পর তারা সবাই হাসপাতালের কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসেন। যেন সবাই কাছাকাছি থাকতে পারে। ইস্টার হলেন ছেলের সার্বক্ষণিক সেবিকা। বহু জটিল চিকিৎসার পর বোন-ম্যারো পরীক্ষায় অ্যান্ড্রুয়ের দেহে কোনো ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পরিবারটি একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে তারা আনন্দ উদযাপন করছেন।
অ্যান্ড্রুয়ের সুস্থ হওয়া উপলক্ষে তারা আর পুরনো বাড়িতে ফেরত যাবেন না বলেই ঠিক করলেন। বরং নতুন জীবন শুরু করবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করাতে গিয়ে আবারো দুঃসংবাদ। ক্যান্সার ফিরে এসেছে। নতুন পরিকল্পনা হাতে নিলেন চিকিৎসকরা।
বাবা-মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। এই ছোট্ট শিশুটি আর বাঁচবে না, ধরেই নিলেন তারা। আবারো সেই কঠিন চিকিৎসা এই ছোট্ট শিশুর ওপর। আবার পরিবারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এমন নানা দিক ভেবে চিকিৎসা নেবেন না বলে মনস্থির করলেন বাবা-মা।
হতবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসকরা। তারা অ্যান্ড্রুকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারেন না। তারা শিশুটিকে সুস্থ করে তুলবেন বলেই বদ্ধপরিকর। তারা আবারো কেমোথেরাপি দিতে চান। কিন্তু রাজি হলেন না ইস্টার এবং ড্যান।
এবার শিশুটি যতদিন বাঁচুক তার জন্যে ভালো কিছু দিতে চাইলেন বাবা-মা। এটা দীর্ঘ জীবনের জন্যে নয়। সে তো মরেই যাবে। যে কয়দিন থাকে, মানসম্পন্ন জীবন দিতে চাইলেন।
নতুন বাড়িতে ওঠার কিছু দিন পরই অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলো অ্যান্ড্রুয়ের। প্রচণ্ড ব্যথায় কুঁকড়ে যেত সে। মানসিক যন্ত্রণায় মায়ের পাগল হওয়ার জোগাড়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা উচ্চ ক্ষমতার অপিওয়িড প্রয়োগে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতেন। তাকে কালো তোয়ালেতে জড়িয়ে নিতে বলতেন হাসপাতালের একজন সেবিকা। কারণ যখন-তখন তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হবে। দৃশ্যটা সহ্য হবে না তখন।
কিছু দিন বাড়ে চিকিৎসকদের দল শিশুটির মৃত্যুর জন্যে মানসিক প্রস্তুতি নিতে বললো পরিবারকে। অ্যান্ড্রু খেলনা বিমান দারুণ পছন্দ করতো। তাই এক বিমানবন্দরের পাশে এক সমাধিস্থলে অ্যান্ড্রুকে শোয়ানের ব্যবস্থা আগে থেকেই রাখা হলো। অ্যান্ড্রু লেভি মেমোরিয়াল ফান্ড খুললেন বাবা-মা। চিকিৎসরা দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পরিবারকে বিদায় জানালেন।
এক দিন শিশুদেরকে ডাকলেন ড্যান এবং ইস্টার। উইলসকে বললেন, তার কোষ অ্যান্ড্রুয়ের দেহে দারুণ কাজ করেছে। কিন্তু দেহ তা ধরে রাখতে পারেনি। আসলে ভাইয়ের মৃত্যু যেন তাদের কষ্ট না দেয় তার জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে ওদের।
এ অবস্থায় একদিন অ্যান্ড্রুকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা। বাড়ির সামনের মাঠে বল খেলছে উইলস। হঠাৎ অ্যান্ড্রু মায়ের কোলে উঠে বসলো। হামাগুড়ি দিয়ে বল ধরতে গেলো। হা হয়ে গেলেন ইস্টার।
চিকিৎসক দলকে এর পর অ্যান্ড্রুয়ের অবস্থা ভিডিও করে পাঠাতে থাকলেন ইস্টার। ও পিৎজা খাচ্ছে, হাসছে আর খেলছে। চিকিৎসরাও হতভম্ব। রক্ত পরীক্ষায় ওর অবস্থা বেশ ভালো দেখা গেলো। অনেক কিছুই ধারণা করা হলো। হয়তো তার লিউকোমিয়া নয়, বড় ধরনের কোনো সংক্রমণ ঘটেছিল। অথবা নতুন ইমিউন সিস্টেম দেহে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে। তা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
বয়স দুই বছর পূর্ণ করলো অ্যান্ড্রু। যা কখনো ভাবেননি বাবা-মা। সে এখন হাঁটে এবং খেলা করে। অল্প সময়ের মধ্যেই শিশুটি বেশ স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠলো। ভাই-বোনদের সঙ্গে দৌড়ে দৌড়ে বল খেলে।
তবে আরো একবার পরীক্ষা করতে চাইলেন বাবা-মা। হাসপাতালে নিলেন। পর পর দুই বার পরীক্ষা করে চিকিৎসক অবাক। এর দেহে কোনো ক্যান্সার নেই।
কোষ প্রতিস্থাপনের দায়িত্বে ছিলেন জেনিফার উইলার্ট। বললেন, ক্যান্সার কিভাবে এমনিতেই গায়েব হয়ে যায়? এটা অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। এমনটা ঘটার কোনো কারণ বিজ্ঞানের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য করা যায় না। কিন্তু তা ঘটে গেছে।
শিশু যখন কোনো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়, তখন বাবা-মায়ের অবস্থা অন্য কেউ বুঝতে পারেন না। মৃত্যু যখন নিশ্চিত তখন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া কিংবা অপেক্ষা ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে? কিন্তু অ্যান্ড্রুয়ের ঘটনায় কি ভাবা যেতে পারে? শেষ পর্যন্ত দেখতেই হবে। নিশ্চিত মৃত্যু কিংবা অনিশ্চিত ভবিষ্যত ছাড়া ভাবার আর কোনো পথ নেই এখানে। কিন্তু ভয়ের সঙ্গে আশাবাদ ধরে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ভাববেন না, শিশুটি মরণাপন্ন রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যু তার নিশ্চিত। তার প্রমাণ ছোট্ট শিশু অ্যান্ড্রুই তো দিয়ে দিলো। সূত্র : নিউ নিয়র্ক টাইমস
জুলহাজ মান্নান হত্যায় গ্রেপ্তার ১: পুলিশ
রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই দাবি করা হয়।
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানে ৩৫ উত্তর ধানমন্ডির বাড়ির দোতলার বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে চাকরি করতেন। তিনি সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাহবুব ছিলেন নাট্যকর্মী।
আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই দাবি করা হয়।
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানে ৩৫ উত্তর ধানমন্ডির বাড়ির দোতলার বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে চাকরি করতেন। তিনি সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাহবুব ছিলেন নাট্যকর্মী।
যাত্রাবাড়ীতে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার 2
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণ। আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য জানান। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকার ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইয়াবা বহনকারী রাকিব ও নূরুজ্জামান নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2016/05/14/358325#sthash.pSZe3b3S.dpuf
সাভারে দুই ভাইসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে দুই ভাইসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন একটি ডেইরি ফার্ম থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার এসআই নাসির উদ্দিন। নিহতরা হলেন নীলফামারী জেলার জিয়াউর রহমানের দুই পুত্র জীবন (১৯) ও নাছির (১৬) ও করকমা মিয়ার ছেলে ভজে (১৪)। নিহত তিনজনই হেমায়েতপুর এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করতেন। জীবনের মা নাসরিন আক্তার বলেন, রাত ১১টার দিকে খাওয়া দাওয়া করে তিনজন পাশের কক্ষে ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকতে গিয়ে তাদের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। তবে কীভাবে এই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এসআই নাসিরউদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা লাশ তিনটা উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2016/05/14/358333#sthash.oixwhZDS.dpuf
রিজার্ভের অর্থ লোপাট : দায় অস্বীকার ফেডারেল ব্যাংকের।
সাইবার হামলা চালিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ লোপাটের ঘটনায় মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে। শুক্রবার এক আইনজীবী ব্যাংকের ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতির কোনো ত্রুটি আছে কি না-জানতে চাইলে ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে এ কথা জানায়।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক্সিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস বেক্সটার রয়টার্সকে জানান, নিউইয়র্ক ফেডারেলের সিস্টেম হচ্ছে, যদি কোনো ব্যবহারকারী সুইফট ম্যাসেজিং নেটওয়ার্কের ভেরিফিকেশন পার করে আসতে সক্ষম হন, তবে তার একাউন্ট ট্রান্সফার বন্ধ করার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ অন্যান্য ব্যাংকের মতোই নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও সুইফট ভেরিফিকেশনের ওপর আস্থা রাখে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি ট্রান্সফারের সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় তা করতে দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করায় আরও ৩০টি ট্রান্সফার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেয়া হয় - See more at: http://www.manobkantha.com/2016/05/14/126226.php#sthash.BmQpNSe2.dpuf
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক্সিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস বেক্সটার রয়টার্সকে জানান, নিউইয়র্ক ফেডারেলের সিস্টেম হচ্ছে, যদি কোনো ব্যবহারকারী সুইফট ম্যাসেজিং নেটওয়ার্কের ভেরিফিকেশন পার করে আসতে সক্ষম হন, তবে তার একাউন্ট ট্রান্সফার বন্ধ করার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ অন্যান্য ব্যাংকের মতোই নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও সুইফট ভেরিফিকেশনের ওপর আস্থা রাখে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি ট্রান্সফারের সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় তা করতে দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করায় আরও ৩০টি ট্রান্সফার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেয়া হয় - See more at: http://www.manobkantha.com/2016/05/14/126226.php#sthash.BmQpNSe2.dpuf
Friday, 13 May 2016
দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৭ জনের মৃত্যু। বজ্রপাতে এত প্রাণহানি কেন?
বজ্রপাতে গত দুই দিনে সারা দেশে ৫৭ জন মারা গেছেন। প্রাকৃতিক কারণে দুই দিনে দেশে এত লোকের মৃত্যুর নজির সাম্প্রতিক সময়ে নেই। বজ্রপাতের বা এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে একক কোনো কারণ বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা বলছেন, প্রকৃতিকে বৈরী করে তোলার পাশাপাশি মুঠোফোনের ব্যবহারসহ জীবনযাত্রার পরিবর্তন এর জন্য দায়ী।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, নদী শুকিয়ে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট হওয়া আর গাছ ধ্বংস হওয়ায় দেশে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা আসার আগের মে মাসে তাপমাত্রা বেশি হারে বাড়ছে। এতে এই সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর মিলনে বজ্রঝড় সৃষ্টি হচ্ছে।
বেসরকারিভাবে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাব রাখা হলেও সরকারিভাবে একে দুর্যোগ হিসেবেই স্বীকার করা হয় না। ফলে কোনো হিসাবও নেই। তবে সরকারি সংস্থা আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, মে মাসে নিয়মিতভাবে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। সংস্থাটির হিসাবে ১৯৮১ সালে মে মাসে গড়ে নয় দিন বজ্রপাত হতো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে বজ্রপাত হয়েছে এমন দিনের সংখ্যা বেড়ে ১২ দিনে দাঁড়িয়েছে। আর হিসাবটা মৃত্যুর সংখ্যায় ধরা হলে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন।
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় দেশের বেশির ভাগ গ্রাম এলাকায় বড় গাছ থাকত। তাল, নারিকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। ফলে মানুষের আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কমত।
বজ্রপাত-বিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এখন মুঠোফোন থাকছে। দেশের অধিকাংশ এলাকায় মুঠোফোন ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার রয়েছে। দেশের কৃষিতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। তা ছাড়া, সন্ধ্যার পরে মানুষের ঘরের বাইরে অবস্থান বাড়ছে। আর বেশির ভাগ বজ্রপাতই হয় সন্ধ্যার দিকে। আকাশে সৃষ্টি হওয়া বজ্র মাটিতে কোনো ধাতব বস্তু পেলে তার দিকে আকর্ষিত হচ্ছে।
বজ্রপাত বাড়ার কারণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এম আমানত উল্লাহ খান বলেন, ‘বেড়ে যাচ্ছে এটা বলতে পারি। কিন্তু এর কারণ হিসেবে কিছু ধারণার ওপরই নির্ভর করতে হবে।’ তিনি বলেন, বজ্রপাত হয় কালবৈশাখীর সঙ্গে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় বায়ুপ্রবাহের ভূমিকা আছে এ ক্ষেত্রে। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা বেড়ে বায়ুপ্রবাহে তা যুক্ত হয়ে ঝড়ের প্রকোপ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
হাওর অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি হওয়া সে অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে বলেও মনে করেন অধ্যাপক আমানত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কারণ নির্ধারণ করতে গেলে শুধু আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিস্থিতির তথ্য পাওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং মিয়ানমারের বায়ুপ্রবাহের সাম্প্রতিক তথ্যও নিতে হবে। আর এসবের জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা দরকার।’
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে, বিশেষ করে ফসলের খেতে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে কৃষিতে বেশি মাত্রায় যন্ত্রাংশ ব্যবহারের একটি কারণ। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আমানত উল্লাহ বলেন, যন্ত্রাংশ বজ্রকে আকর্ষণ বেশি করে। এসব মৃত্যুর কারণ যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তবেই যন্ত্রাংশ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে এ মৃত্যুর সংযোগ খোঁজা সহজ হবে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, নদী শুকিয়ে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট হওয়া আর গাছ ধ্বংস হওয়ায় দেশে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা আসার আগের মে মাসে তাপমাত্রা বেশি হারে বাড়ছে। এতে এই সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর মিলনে বজ্রঝড় সৃষ্টি হচ্ছে।
বেসরকারিভাবে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাব রাখা হলেও সরকারিভাবে একে দুর্যোগ হিসেবেই স্বীকার করা হয় না। ফলে কোনো হিসাবও নেই। তবে সরকারি সংস্থা আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, মে মাসে নিয়মিতভাবে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। সংস্থাটির হিসাবে ১৯৮১ সালে মে মাসে গড়ে নয় দিন বজ্রপাত হতো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে বজ্রপাত হয়েছে এমন দিনের সংখ্যা বেড়ে ১২ দিনে দাঁড়িয়েছে। আর হিসাবটা মৃত্যুর সংখ্যায় ধরা হলে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন।
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় দেশের বেশির ভাগ গ্রাম এলাকায় বড় গাছ থাকত। তাল, নারিকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। ফলে মানুষের আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কমত।
বজ্রপাত-বিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এখন মুঠোফোন থাকছে। দেশের অধিকাংশ এলাকায় মুঠোফোন ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার রয়েছে। দেশের কৃষিতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। তা ছাড়া, সন্ধ্যার পরে মানুষের ঘরের বাইরে অবস্থান বাড়ছে। আর বেশির ভাগ বজ্রপাতই হয় সন্ধ্যার দিকে। আকাশে সৃষ্টি হওয়া বজ্র মাটিতে কোনো ধাতব বস্তু পেলে তার দিকে আকর্ষিত হচ্ছে।
বজ্রপাত বাড়ার কারণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এম আমানত উল্লাহ খান বলেন, ‘বেড়ে যাচ্ছে এটা বলতে পারি। কিন্তু এর কারণ হিসেবে কিছু ধারণার ওপরই নির্ভর করতে হবে।’ তিনি বলেন, বজ্রপাত হয় কালবৈশাখীর সঙ্গে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় বায়ুপ্রবাহের ভূমিকা আছে এ ক্ষেত্রে। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা বেড়ে বায়ুপ্রবাহে তা যুক্ত হয়ে ঝড়ের প্রকোপ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।
হাওর অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি হওয়া সে অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে বলেও মনে করেন অধ্যাপক আমানত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কারণ নির্ধারণ করতে গেলে শুধু আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিস্থিতির তথ্য পাওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং মিয়ানমারের বায়ুপ্রবাহের সাম্প্রতিক তথ্যও নিতে হবে। আর এসবের জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা দরকার।’
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে, বিশেষ করে ফসলের খেতে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে কৃষিতে বেশি মাত্রায় যন্ত্রাংশ ব্যবহারের একটি কারণ। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আমানত উল্লাহ বলেন, যন্ত্রাংশ বজ্রকে আকর্ষণ বেশি করে। এসব মৃত্যুর কারণ যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তবেই যন্ত্রাংশ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে এ মৃত্যুর সংযোগ খোঁজা সহজ হবে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বড় কারণের মধ্যে আছে গ্রামে বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, নদীর শুষ্কতা, জলাভূমি ভরাট, মুঠোফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিসের গবেষক সমরেন্দ্র কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, মার্চ ও এপ্রিলে দেশে বজ্রপাতের পরিমাণ কমছে। আর মে মাসে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একটু সচেতন হয়ে বিদ্যুৎ চমকানো দেখলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই, তাহলেই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর সারা দেশের ৩৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পরিমাপ করে দেখেছে, খুলনা জেলার কিছু এলাকা ছাড়া সারা দেশেই বজ্রপাত আঘাত হেনেছে। এমন বিস্তৃত বজ্রসহ ঝড় হওয়ার ঘটনাও আবহাওয়ার বিচারে বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনাই বলছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ছয় বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে উন্মুক্ত জায়গায়। ফসলের খেতে কাজ করতে গিয়ে বা নৌকায় থাকা অনেকে নিহত হয়েছেন। আবার মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় আছে শিশুরা। ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে খেলার মাঠে তাদের মৃত্যু হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বজ্রপাতে যেসব মৃত্যু হয়েছে এর এক-চতুর্থাংশ হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরের নয় জেলায়। এ বছর ৮৮টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ২৭টিই হয়েছে হাওর অঞ্চলে।
তবু দুর্যোগ নয়: দুর্যোগ ফোরামের হিসাব অনুযায়ী, গত ছয় বছরে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০-র বেশি নয়। এর মধ্যে আবার নৌকাডুবিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোতে নিহত হন ৩১ জন। টর্নেডোতে মৃত্যুর ঘটনা গত ছয় বছরে এটিই বড়। কিন্তু বজ্রপাতে এসব দুর্যোগের চেয়ে অনেক মানুষ মারা গেলেও সরকারি নথিতে এটি দুর্যোগ নয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনা ২০১০-১৫তে মোট ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ আছে। দুর্যোগ ফোরামের সদস্যসচিব গওহর নাইম ওয়ারা বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনো আঘাত না হানা সুনামিও দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বজ্রপাতের মতো এমন জীবনসংহারী ঘটনাকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য না করা এসব মৃত্যুকে অবহেলা করার নামান্তর।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ স্বীকার করেন, ‘এটি এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাতে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা উচিত।’ তিনি বলেন, অধিদপ্তর এখন বজ্রপাতের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে। গবেষণারও পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তবে সচেতনতা বাড়াতেও সরকারি কর্মকাণ্ড এখন নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সারা দেশের ৩৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পরিমাপ করে দেখেছে, খুলনা জেলার কিছু এলাকা ছাড়া সারা দেশেই বজ্রপাত আঘাত হেনেছে। এমন বিস্তৃত বজ্রসহ ঝড় হওয়ার ঘটনাও আবহাওয়ার বিচারে বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনাই বলছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ছয় বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে উন্মুক্ত জায়গায়। ফসলের খেতে কাজ করতে গিয়ে বা নৌকায় থাকা অনেকে নিহত হয়েছেন। আবার মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় আছে শিশুরা। ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে খেলার মাঠে তাদের মৃত্যু হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বজ্রপাতে যেসব মৃত্যু হয়েছে এর এক-চতুর্থাংশ হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরের নয় জেলায়। এ বছর ৮৮টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ২৭টিই হয়েছে হাওর অঞ্চলে।
তবু দুর্যোগ নয়: দুর্যোগ ফোরামের হিসাব অনুযায়ী, গত ছয় বছরে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০-র বেশি নয়। এর মধ্যে আবার নৌকাডুবিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোতে নিহত হন ৩১ জন। টর্নেডোতে মৃত্যুর ঘটনা গত ছয় বছরে এটিই বড়। কিন্তু বজ্রপাতে এসব দুর্যোগের চেয়ে অনেক মানুষ মারা গেলেও সরকারি নথিতে এটি দুর্যোগ নয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনা ২০১০-১৫তে মোট ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ আছে। দুর্যোগ ফোরামের সদস্যসচিব গওহর নাইম ওয়ারা বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনো আঘাত না হানা সুনামিও দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বজ্রপাতের মতো এমন জীবনসংহারী ঘটনাকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য না করা এসব মৃত্যুকে অবহেলা করার নামান্তর।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ স্বীকার করেন, ‘এটি এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাতে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা উচিত।’ তিনি বলেন, অধিদপ্তর এখন বজ্রপাতের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে। গবেষণারও পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তবে সচেতনতা বাড়াতেও সরকারি কর্মকাণ্ড এখন নেই।
Subscribe to:
Posts (Atom)